ইরানের যে ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চরম উদ্বেগে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২:৪৪:৫৪পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালানোর পর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল তেহরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক হামলার ভয়ে প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যেকোনো কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা হলে তার জবাব আন্তর্জাতিক আইনে সম্পূর্ণ বৈধ। এ কারণে ইরানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ইসরাইলকে কঠোর ও অনুশোচনামূলক জবাব দেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ী বুধবার সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজের খুতবায় দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী একটি দেশের কূটনৈতিক মিশনকে ওই দেশের ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য করা হয়। অপশক্তি ইহুদিবাদী ইসরাইল ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে প্রকারান্তরে ইরানি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। তাই ইসরাইলকে এই অপরাধের জন্য শাস্তি পেতে হবে এবং তাকে শাস্তি দেয়া হবে।

ইরানের পাল্টা হামলা কেমন হতে পারে তা নিয়ে ইসরাইল ও তার সহযোগী দেশগুলো বিশেষ করে আমেরিকা ভয়ানক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইরান ইসরাইলে শতাধিক ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। এ অবস্থায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা ধরনের জল্পনা প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকৃত অর্থেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্য চরম দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বলে উল্লেখ করেছে। ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র বহরে রয়েছে নানা ধরনের বহু ক্ষেপণাস্ত্র।